সেই উনিশের শতক থেকে চলে আসা ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে সব থেকে চর্চিত ঘটনা যার রেশ ভারতীয় উপমহাদেশের আসমুদ্রহিমালয় পর্যন্ত গড়িয়েছে। সেটি অযােধ্যার রামমন্দির ইস্যু। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অনেক উধর্ব হিন্দুত্ববাদী আদর্শ। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য রামমন্দিরের রায় বিলম্বিত করার প্রচেষ্টা করছে। আফগানিস্তানের বামিয়ানে তালিবানদের বুদ্ধমূর্তি ভেঙে দেওয়ার মতাে হিন্দু তালিবান” দ্বারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে --- সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবীর এহেন মন্তব্য যে শুধু হিন্দু ভাবাবেগকে আঘাত করেছে নয়, তার সঙ্গে ভারতবর্ষের ঐতিহ্য ও পরম্পরাকেও আঘাত করেছে। শীর্ষ আদালত অযােধ্যা বিতর্ককে শুধুমাত্র ভূমি বিরােধ বলে উল্লেখ করেছে।
রামমন্দিরের সমস্যা অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই কোর্টকে দ্রুত তার সমাধান করতে হবে। গত ৩০ বছর ধরে আন্দোলন চলছে এবং হিন্দুদের অপেক্ষটি শেষ হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে। চূড়ান্ত রামমন্দির রায়ের অনির্দিষ্ট বিলম্ব নিশ্চিত করার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অনেক বেশি। কংগ্রেস ২০১৯ সালের লােকসভা নির্বাচনের আগে রামমন্দিরের শুনানি হােক চায় না।
কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল রামমন্দির শুনানির স্থগিতাদেশের জন্য বেঞ্চের কাছে সরাসরি একটি অনুরােধ দাখিল করেছেন। মহামান্য আদালতের যে চরম উদাসীনতা গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে কার্যত স্পষ্ট হয়ে দাঁড়াচ্ছে এর একমাত্র কারণ হলাে মুসলমান তােষণ। আর কতদিন কোটি কোটি হিন্দুভাই-বােনদের এই প্রহসনের শিকার হতে হবে? দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বলতেই হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট তার মর্যাদা, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেছেন, দেশের হিন্দুরা তাদের ধৈর্যের সীমা হারাচ্ছে। আমি ভীত হব যদি হিন্দুরা তাদের ধৈর্য হারায় তাহলে কী হবে। শ্রীরাম হিন্দুদের বিশ্বাসের ভিত্তিপ্রস্তর। এই বিশ্বাসের গােড়ায় দীর্ঘকালীন যে আঘাত তারা পাচ্ছে তা যদি দ্রুত শেষ না হয় তার প্রভাব বা ফলাফল কোনওটাই যে খুব সুখকর হবে না তা অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রবাহ অনুধাবন করলেই বােঝা যায়।
ভারতবর্ষে উপাসনা করার মৌলিক অধিকার প্রত্যেকের আছে। কিন্তু ঘটনাক্রমে বর্তমান পরিস্থিতি এতটাই জটিল থেকে জটিলতার হচ্ছে সেই মৌলিক অধিকার প্রয়ােগের জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। এবং অত্যন্ত শৌখিন ভাবে বর্তমানে তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। রামভক্তদের একটাই বক্তব্য কেলে মােদী ও রাজ্যে যােগী থাকা সত্ত্বেও কেন মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করা গেল না। শীর্ষ আদালত গড়িমসি করলে অর্ডিন্যান্স জারি করে রামমন্দির নির্মাণের দাবি করেছেন তারা। দীর্ঘকালীন আইনি জটিলতার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাস্তবে যে মন্দির নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া
অপ্রাসঙ্গিক তা বুঝেই এই ‘অনির্দিষ্টকালীন বিলম্ব আরও দৃঢ় পরিণত হয়েছে।
একটি পবিত্র স্থানের উপর চলমান, অমীমাংসিত আইনি জটিলতা সময়ের সঙ্গে খারাপ হচ্ছে। অযােধ্যাতে এটি মারাত্মক ভাবে খারাপ হয়ে দেখা দিচ্ছে। আদালতের এই বিষয়ে সম্যক জ্ঞান যে লােপ পাচ্ছে তা বােঝা যায়। আজ এই চরম সংকটের সময়ে হিন্দুদের এক হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের শাশ্বত লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে। আর সুপ্রিম কোর্টের বিলম্ব প্রসঙ্গে এটুকু বলা যায়, মন্দির নির্মাণ নিয়ে যে দোলাচল চলছে তা বন্ধ হােক। বিচারকদের কাছে আবেদন যে, সময় এমনিতেই শেষ হয়ে গেছে, আর শুনানির স্থগিতাদেশ দিয়ে হিন্দুদের উপর অন্যায় করবেন না। কোনও রকম রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার নাকরে চির শাশ্বত চির সত্যের পথে চির সনাতন অধিকারকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে এসে যত দ্রুত সম্ভব এই মামলার নিষ্পত্তি করুন।
--বনিতা সরকার,
চুঁচুড়া, হুগলী।
![]() |
রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের উদাসীনতা কেন? |
রামমন্দিরের সমস্যা অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই কোর্টকে দ্রুত তার সমাধান করতে হবে। গত ৩০ বছর ধরে আন্দোলন চলছে এবং হিন্দুদের অপেক্ষটি শেষ হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে। চূড়ান্ত রামমন্দির রায়ের অনির্দিষ্ট বিলম্ব নিশ্চিত করার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অনেক বেশি। কংগ্রেস ২০১৯ সালের লােকসভা নির্বাচনের আগে রামমন্দিরের শুনানি হােক চায় না।
কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল রামমন্দির শুনানির স্থগিতাদেশের জন্য বেঞ্চের কাছে সরাসরি একটি অনুরােধ দাখিল করেছেন। মহামান্য আদালতের যে চরম উদাসীনতা গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে কার্যত স্পষ্ট হয়ে দাঁড়াচ্ছে এর একমাত্র কারণ হলাে মুসলমান তােষণ। আর কতদিন কোটি কোটি হিন্দুভাই-বােনদের এই প্রহসনের শিকার হতে হবে? দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বলতেই হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট তার মর্যাদা, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেছেন, দেশের হিন্দুরা তাদের ধৈর্যের সীমা হারাচ্ছে। আমি ভীত হব যদি হিন্দুরা তাদের ধৈর্য হারায় তাহলে কী হবে। শ্রীরাম হিন্দুদের বিশ্বাসের ভিত্তিপ্রস্তর। এই বিশ্বাসের গােড়ায় দীর্ঘকালীন যে আঘাত তারা পাচ্ছে তা যদি দ্রুত শেষ না হয় তার প্রভাব বা ফলাফল কোনওটাই যে খুব সুখকর হবে না তা অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রবাহ অনুধাবন করলেই বােঝা যায়।
ভারতবর্ষে উপাসনা করার মৌলিক অধিকার প্রত্যেকের আছে। কিন্তু ঘটনাক্রমে বর্তমান পরিস্থিতি এতটাই জটিল থেকে জটিলতার হচ্ছে সেই মৌলিক অধিকার প্রয়ােগের জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। এবং অত্যন্ত শৌখিন ভাবে বর্তমানে তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। রামভক্তদের একটাই বক্তব্য কেলে মােদী ও রাজ্যে যােগী থাকা সত্ত্বেও কেন মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করা গেল না। শীর্ষ আদালত গড়িমসি করলে অর্ডিন্যান্স জারি করে রামমন্দির নির্মাণের দাবি করেছেন তারা। দীর্ঘকালীন আইনি জটিলতার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাস্তবে যে মন্দির নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া
অপ্রাসঙ্গিক তা বুঝেই এই ‘অনির্দিষ্টকালীন বিলম্ব আরও দৃঢ় পরিণত হয়েছে।
একটি পবিত্র স্থানের উপর চলমান, অমীমাংসিত আইনি জটিলতা সময়ের সঙ্গে খারাপ হচ্ছে। অযােধ্যাতে এটি মারাত্মক ভাবে খারাপ হয়ে দেখা দিচ্ছে। আদালতের এই বিষয়ে সম্যক জ্ঞান যে লােপ পাচ্ছে তা বােঝা যায়। আজ এই চরম সংকটের সময়ে হিন্দুদের এক হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের শাশ্বত লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে। আর সুপ্রিম কোর্টের বিলম্ব প্রসঙ্গে এটুকু বলা যায়, মন্দির নির্মাণ নিয়ে যে দোলাচল চলছে তা বন্ধ হােক। বিচারকদের কাছে আবেদন যে, সময় এমনিতেই শেষ হয়ে গেছে, আর শুনানির স্থগিতাদেশ দিয়ে হিন্দুদের উপর অন্যায় করবেন না। কোনও রকম রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার নাকরে চির শাশ্বত চির সত্যের পথে চির সনাতন অধিকারকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে এসে যত দ্রুত সম্ভব এই মামলার নিষ্পত্তি করুন।
--বনিতা সরকার,
চুঁচুড়া, হুগলী।
0 Comments